#সেল্ফমেড: গৃহিনী থেকে দক্ষ ব্যবসায়ী — এই ফ্লিপকার্ট বিক্রেতা তাঁর প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠে স্বপ্ন পূরণ করেছেন

Read this article in हिन्दी | English | தமிழ் | ಕನ್ನಡ | ગુજરાતી | मराठी

অনেকের কাছে, অনলাইনে বিক্রয় করা মানে পুরো ভারতীয় বাজারে নিজের জিনিস বিক্রি করার সুবিধা পাওয়া। অন্য কয়েকজনের জন্য, এটি লিঙ্গের বেড়াজাল পেরিয়ে স্বাধীন থাকার জন্য একটি দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার উপায়। আমাদের #সেল্ফমেড সিরিষের দ্বিতীয় গল্পে, পড়ুন যে কীভাবে দিল্লির এমপি মেগা স্টোরের মালিক, ফ্লিপকার্ট বিক্রেতা মনিকা সায়নী, , ফ্লিপকার্টে একজন সেরা অনলাইন ব্যবসায়ী হয়ে উঠে তাঁর পরিবারের বহুকালের একটি ধারণাকে দূর করেছেন যে মহিলাদের কেবল বাড়ির যত্ন নেওয়া উচিত।

Flipkart seller

মনিকা সাইনী, দিল্লির ফ্লিপকার্ট বিক্রেতা

জিশনু মুরলিকে বলা মতে


ব্যবসা শুরু করা আমার প্রথম স্বাধীন পদক্ষেপ ছিল। এটি আমার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ ছিল। আমার স্বামীর বন্ধু মোবাইল ফোন এবং মোবাইলের বিভিন্ন উপকরণ বিক্রয় করে একটি অনলাইন ব্যবসা চালায়। আমিও নিজের খরচ চালানোর জন্য রোজগার করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাকে তা করতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল। আমার পরিবারও বাড়ি ছেড়ে আমার বাইরে কাজ করতে যাওয়ার বিরুদ্ধে ছিল।

আমি মধ্য প্রদেশের মাধবগড় নামে একটি ছোট্ট গ্রাম থেকে এসেছি। ভারতের গ্রামগুলিতে এখনও এই ধারণা রয়েছে যে মেয়েদের জীবিকা অর্জনের জন্য বাইরে পাঠানো উচিত নয়। আমার স্বামী দিল্লির বাসিন্দা কিন্তু আমি যখন এখানে চলে এলাম, তখন পরিস্থিতি আবারও আমার চাকরি পাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াল। আমার শ্বাশুড়ী আমাকে ঘরের বাইরে গিয়ে কাজ করতে দিতে ঠিক পছন্দ করতেন না, তবে তিনি আমার বাড়ি থেকে কাজ করায় নিয়ে সম্মত ছিলেন। তখনই আমি নিজের ব্যবসা শুরু করব বলে ঠিক করি।

আমার পাড়ায় অনেক স্কুল আছে। এবং এখানকার স্কুলগুলি ব্ল্যাকবোর্ড ব্যবহার করে। তাই আমার মাথায় স্কুলে ব্ল্যাকবোর্ড এবং হোয়াইটবোর্ড বিক্রি করার ব্যাপারটি আসে। এবং আমার গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখে, আমি বোর্ডের সাথে চক এবং মার্কারও বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিই। আমি 2018 সালে ফ্লিপকার্টেবিক্রি করা শুরু করি। এটি ছিল আমার স্বামীর পরামর্শ – তিনিও আমার কাজটির উপর ভরসা করতে শুরু করেছিলেন এবং ভেবেছিলেন যে ফ্লিপকার্টই হল সঠিক উপায়।

আমি যখন শুরু করি তখন আমি কয়েকটি সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলাম। আমি ঠিক করতে পারছিলাম না যে জিনিসপত্র কোথা থেকে সংগ্রহ করব। প্রথমদিকে, আমি আমার পণ্যগুলি বিভিন্ন ভেন্ডারের কাছ থেকে সংগ্রহ করতাম। তবে, এখন আমি সেগুলি একজন ভেন্ডারের কাছ থেকে নিই। একটি ব্যবসা কীভাবে চলে সে সম্পর্কে অনলাইনে বিক্রি করা আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে।

এ পর্যন্ত আমি আমার যাত্রায় অনেক কিছু শিখেছি। আমি প্রযুক্তিটি ভালভাবে ব্যবহার করতে পারি — যখন আমি শুরু করি তখন আমি কম্পিউটারে বেশি কিছু করতে পারতাম না এবং আমার স্বামী আমাকে সাহায্য করতো। কিন্তু এখন আমি প্রায় পুরো ব্যবসাটি নিজেই চালাই। এবং আমার ব্যবসায়ের বৃদ্ধি বজায় রাখতে আমাকে দ্রুত শিখতে হয়েছে। আমি যখন অনলাইনে বিক্রি শুরু করি, তখন আমি প্রতিদিন 1 টি বা 2 টি অর্ডার পেতাম, তবে এখন আমি এক দিনের মধ্যে প্রায় 22 টি অর্ডার পাই! আমার উন্নতি আমার শ্বাশুড়িকেও অনুপ্রাণিত করেছে। আমি এখন ব্যবসার বাড়ানোর জন্য কাজ করতে থাকি আর তিনি আমার বাচ্ছাকে দেখাশোনা করে্ন।


আরো পড়ুন: #সেল্ফমেড – ফ্লিপকার্ট এই বিক্রেতাকে তার স্বপ্নগুলি বাস্তবায়িত করতে সহায়তা করেছে। এখন, তিনি তাঁর মতো অন্যান্য মহিলাদের সাহায্য করছেন

Enjoy shopping on Flipkart