প্রতি দু ঘন্টা অন্তর স্যানিটাইজিম করা থেকে শুরু করে এটি নিশ্চিত করা যাতে তার কর্মচারীদের কাজে আসতে অনেকটা ঘুরতে না হয়, ফ্লিপকার্ট সেলার সঞ্জীব প্রসাদ তার কর্মচারী এবং গ্রাহকদের সুরক্ষার বিষয়ে নিশ্চিত হতে কোনো প্রচেষ্টাই বাকি রাখছেন না। এখানে, তিনি বলছেন কিভাবে তার কোম্পানী কোভিড-19 পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিচ্ছে এবং এটির মতো একটি ছোটো বিসনেসে সহায়তা করার জন্য গ্রাহকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। তার গল্পটি পড়ুন।
আমার নাম সঞ্জীব প্রসাদ এবং আমি অত্যাবশ্যকীয় আইটেমগুলি অনলাইনে বিক্রী করি ফ্লিপকার্টএর মাধ্যমে। যখন কোভিড-19-এর ছড়িয়ে পড়ার সাথে মোকাবিলা করার জন্য লকডাউন এবং অনুবর্তী বিধিনিষেধগুলি ঘোষনা করা হয়েছিল, তখন আমরা এটা বুঝতে চাইছিলাম যে কিভাবে আমাদের বিসনেসকে চালু রাখতে আমরা ই-কমার্সকে বেছে নিতে পারি। ফ্লিপকার্ট আমাদের সহায়তা করেছিল সময়মতো আদানপ্রদান এবং বিস্তৃত গাইডলাইনগুলির সাহায্যে, এবং তারা অপারেশন শুরু করতে আগ্রহী ছিল, আমি সত্যি সত্যিই যেটার প্রশংসা করি।
যেহেতু আমি ইতিমধ্যে স্যানিটাইজার, ফেস ওয়াশ, সাবান এবং হাইজিন কিটের মতো আবশ্যিকগুলি বিক্রী করছিলাম, তাই ফ্লিপকার্টে আমাদের প্রোডাক্টগুলির তালিকা দেওয়া আমাদের কাছে একটি ঝামেলাবিহীন অভিজ্ঞতা ছিল।
কোভিড-19 অতিমারীর মধ্যে যখন এটি কর্মচারী এবং বিসনেস অপারেশনের ব্যাপার তখন আমরা খুবই যত্নশীল। অফিসের সময়ের পর, আমরা নিজেদের স্যানিটাইজ করি এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় সতর্কতাগুলি মেনে চলি। বর্তমানে, আমরা 33% কর্মচারীদের নিয়ে কাজ করছি। দেশব্যাপী লকডাউনের আগে, আমাদের 20জন কর্মচারী ছিল কিন্তু এখন শুধুমাত্র চার থেকে পাঁচজন কর্মচারী কাজ করছে।
এছাড়াও তারা আমাদের কাছাকাছি এলাকায় থাকে তাই আমরা এটি নিশ্চিত করছি যাতে কাজে জায়গায় আসার জন্য তাদের আদৌও অনেকটা পথ অতিক্রম করতে না হয়। যখন আমাদের কর্মচারীরা অফিসে পৌঁছায় তখন তারা একটি লগবুকে স্বাক্ষর করে। তারপর আমরা কর্মচারী তাপমাত্রা নিই এবং তাদের হাত এবং পায়ের পাতার জন্য স্যানিটাইজার প্রদান করি। ওয়ার্কস্টেশনে এবং দরজার কাছে আমরা স্যানিটাইজার রাখি। প্রতি দু ঘন্টা অন্তর, আমি প্রত্যেককে নির্দেশ দিই তাদের হাতগুলি স্যানিটাইজ করার জন্য এবং আমিও সেটা করি। এছাড়াও আমরা দুজোড়া গ্লাভস প্রদান করি, যা কাজের সময়ের পরে ফেলে দেওয়া হয়। আমরা প্রতিদিন এই রুটিনে আবদ্ধ থাকি।
ফ্লিপকার্টের সাথে জড়িত থাকতে পেরে এবং সারা দেশে গ্রাহকদের পরিষেবা দিতে পেরে আমরা গর্ব বোধ করি। আমরা আমাদের ভারতীয় সহকর্মীদের কাছে অনুরোধ জানাই যখনই সম্ভব তারা যেন অনলাইনে কেনাকাটা করেন। ফ্লিপকার্টের মতো কোম্পানীগুলি তাদের ক্ষমতা অনুযায়ী সবকিছু করছে এটি নিশ্চিত করার জন্য যাতে এই কঠিন সময় সাশ্রয়ী দামে সমস্ত আবশ্যিকগুলি এবং মুদির জিনিসগুলি উপলব্ধ হয়। এছাড়াও আমাদের মতো ছোটো বিসনেসগুলির ভরণপোষনও এটি সুনিশ্চিত করে। এবং আমাদের কাছ থেকে কেনাকাটা করার জন্য আমাদের সমস্ত গ্রাহকদের একটি বড় ‘ধন্যবাদ!’
পল্লবী সুধাকরের দেওয়া অতিরিক্ত ইনপুটগুলি সহ জিষ্ণু মুরলীকে যেভাবে বলা হয়েছে।